হাত কাঁপার কারণ কী, জেনে নিন চিকিৎসা পদ্ধতি

Site Favicon প্রকাশিত: ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১৩:৩৮ আপডেট করা হয়েছে: ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১৩:৩৮

হেলথবার্তাডেস্ক: হাত কাঁপার কারণ কী,  জেনে নিন চিকিৎসা পদ্ধতি শিরোনামে লিখেছেন ডা. সাইফ হোসেন খানমেডিসিন কনসালট্যান্ট, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ধানমন্ডি, ঢাকা। অকারণে হাত কাঁপাকে বলা হয় ট্রেমর। ভয়, উদ্বেগ অথবা কোনো কারণ ছাড়াই এটা হতে পারে। আবার বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবেও হাত কাঁপতে পারে। হাত কাঁপার সমস্যা নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে ভোগেন। এটি যেমন বিরক্তিকর, তেমনি অনেক সহজ কাজও কষ্টসাধ্য করে তোলে। লেখাটি প্রথম আলো থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

কেন হাত কাঁপে
হাত কাঁপার অনেক কারণ আছে। এর মধ্যে রয়েছে শারীরিক বা ফিজিওলজিক্যাল, এসেনশিয়াল ট্রেমর, পারকিনসন, মস্তিষ্কে সেরিবেলামের রোগ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, দুশ্চিন্তা বা আতঙ্ক ও হরমোনজনিত সমস্যা ইত্যাদি। অনেক সময় মানসিক বা শারীরিক চাপ থেকেও হাত কাঁপতে পারে। ঘন ঘন চা ও কফি খাওয়ার কারণেও হতে পারে। এসেনশিয়াল ট্রেমর বংশগত কারণে হতে পারে। হাত দিয়ে কিছু ধরতে গেলে বা কাজ করতে গেলে বেড়ে যায়। এটি দুই হাতেই একসঙ্গে হতে পারে।

পারকিনসন একটি বয়সজনিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাত কাঁপার পাশাপাশি চলাচল ধীরগতির হয়ে যায়। হাতে–পায়ে একটি আড়ষ্ট ভাব আসে। মস্তিষ্কে সেরিবেলাম নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে, যা আমাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। মস্তিষ্কে সেরিবেলামের সমস্যার একটি লক্ষণ হচ্ছে হাত কাঁপা। তবে কোনো কিছুকে লক্ষ্য করে এগোতে গেলে এ ধরনের হাত কাঁপা বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হাত কাঁপতে পারে।

কোনো কিছু নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করলে তাকে বলা হয় জেনারালাইজড অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার। এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে হাত কাঁপতে পারে। প্যানিক ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রেও এমন হয়। হাইপারথাইরয়েডিজম রোগ হলে হাত কাঁপতে পারে। রক্তে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বেড়ে এ রকম হয়। আবার হাইপোথাইরয়েড রোগে থাইরক্সিন হরমোন বড়ি সেবনের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হলেও হাত কাঁপা শুরু হতে পারে।

চিকিৎসা ও করণীয়
হাত কাঁপার সমস্যার ক্ষেত্রে সবার আগে কেন হাত কাঁপছে, সেটা খুঁজে বের করা জরুরি। এরপর চিকিৎসক রোগের কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলে হাত কাঁপা ভালো হয়ে যেতে পারে। হাত কাঁপা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কিছু ওষুধ সেবনের প্রয়োজনও হতে পারে। রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হলে হাত কাঁপা আরও বেড়ে যেতে পারে। রোগীকে একটি নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন। মানসিক চাপ এড়িয়ে চলতে হবে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।

আপনার পছন্দ হতে পারে