বাঁধাকপির স্যুপ ডায়েটে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে জানলে ধারণাই পাল্টে যাবে

Site Favicon প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০২৫ ০২:১৩

হেলথবার্তা২৪.কম ডেস্ক: বাঁধাকপির স্যুপ ডায়েটে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে জানলে ধারণাই পাল্টে যাবে শিরোনামে লেখাটি প্রথম আলো থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

বাঁধাকপির স্যুপ ডায়েট হলো স্বল্পমেয়াদি দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট, যা সাধারণত সাত দিনের জন্য অনুসরণ করা হয়। এই ডায়েট পৃথিবীর অনেক দেশেই জনপ্রিয়। এই ডায়েটের মূল উপাদান ঘরে তৈরি বাঁধাকপির স্যুপ, যা প্রতিদিন মূল খাবার হিসেবে খেতে হয়।

অনেকের মতে, এই ডায়েট অনুসরণ করে এক সপ্তাহে ১০ পাউন্ড বা প্রায় ৪ দশমিক ৫ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদি ডায়েট শুরুর আগে শরীরকে প্রস্তুত করার একটি কার্যকর উপায় এই ডায়েট। খুব কম খরচেই এই ডায়েট করা যায়।

এই ডায়েটে প্রতিদিন বাঁধাকপির স্যুপের পাশাপাশি ফল, শাকসবজি কিংবা চর্বিমুক্ত দুধ খাওয়া যায়। চাইলে এই স্যুপ ডায়েটে বাঁধাকপির সঙ্গে বিভিন্ন রকম সবজি মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে সেসব সবজির ক্যালরি কম, কিন্তু ফাইবারে ভরপুর থাকতে হবে। তাহলে হজমে সাহায্য করবে।

স্যুপ ডায়েটের কিছু উপকারিতা

পুষ্টিবিদেরা খুব কম ক্যালরিযুক্ত, যেমন কিটোজেনিক ডায়েটের মতো ডায়েট ৪ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ ধরনের ডায়েটে স্বল্প মেয়াদে ওজন কমতে পারে।

বিপাকীয় স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হতে দেখা যায়। এই ডায়েট স্বল্প সময়ের জন্য অনুসরণ করা হলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স সাময়িকভাবে কমে যায়। সাময়িকভাবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমে গেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ওজন কমাতে সাহায্য করার পাশাপাশি টাইপ–২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এই ডায়েট।

অপকারিতা

ওজন কমাতে সাহায্য করলেও বাঁধাকপির স্যুপ ডায়েটের কিছু অপকারিতাও আছে ।আপনার শরীর প্রতি সপ্তাহে সীমিত পরিমাণ চর্বি পোড়াতে পারে। কম ক্যালরির ডায়েটে প্রথম সপ্তাহে যে ওজন কমে, তার প্রায় ৩৪ শতাংশ থাকে চর্বি। বাকি দুই–তৃতীয়াংশ ওজন কমে মূলত পানি–ওজন ও পেশির ভর কমে যাওয়ার কারণে।

এই পানি–ওজন আসে শরীরের গ্লাইকোজেন ভান্ডার থেকে, যা দ্রুত শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। গ্লাইকোজেন সাধারণত শরীরের পানির অণুর সঙ্গে আবদ্ধ থাকে। যখন আপনি যথেষ্ট ক্যালরি খান না, তখন শক্তির জন্য গ্লাইকোজেন ব্যবহার করে শরীর এবং সেই সঙ্গে অতিরিক্ত পানি ঝরে যায়।

এই ডায়েটের আরেকটি বড় সমস্যা হলো পুষ্টির অভাব। এতে খাবারের বিকল্প কম থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ এবং বিশেষ করে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। যথেষ্ট প্রোটিন না থাকায় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে এই ডায়েট অনুসরণকারীরা মাথা ঘোরা, দুর্বলতা ও বমির ভাব অনুভব করতে পারেন।

এই ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অনেকে গ্যাস, পেটব্যথা বা ক্র্যাম্পের সমস্যায় পড়েন। কারও কারও জন্য এটা এতটা পর্যন্ত অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে যে মাঝপথে ডায়েট ছেড়ে দেন। এ ছাড়া দ্রুত ওজন কমলে পিত্তপাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যখন আপনি চর্বিযুক্ত খাবার খান, তখন পিত্তথলি রস হজমে সাহায্য করে। কিন্তু চর্বি কম খেলে পিত্তথলি দীর্ঘ সময় খালি থাকে, ফলে পাথর তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই খুব বেশি সময় ধরে এই ডায়েট না করাই ভালো।

আপনার পছন্দ হতে পারে